ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) মামলার চার্জ শুনানির দিন ধার্য থাকলেও এদিন সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
এ কারণে রাষ্ট্রপক্ষের করা সময় আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার চার্জ শুনানির নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গেল ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করেন।
সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে গেল বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সঙ্গে থাকা সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সম্রাটকে গ্রেফতারের দিনই দুপুর পৌনে ২টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে এদিনই তাকে ৬ মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সারওয়ার আলম। এরপরই সম্রাটকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন।
গেল বছরের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক। এরপর ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আ. হালিম।
ব্রেকিংনিউজ/এমআর