করোনার মধ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যখন কমেছে, সে সময় উত্তাপ বইছে নিত্যপণ্যের বাজারে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানে ভোক্তাদের কষ্ট বাড়া। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেলে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে যে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয় তা এক কথায় অসহ্য।
কয়েক মাস ধরে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৫৪-৫৬ টাকা। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা সঞ্চয় ভেঙে খরচ মেটাতে পারলেও কর্মহীন মানুষ পড়েছে মহাসংকটে।
রোজা শুরুর আগেভাগে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রমজান মাসে দাম বাড়ালে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় বলে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র নানা কৌশলে রমজান শুরুর আগেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) লকডাউন’র দ্বিতীয় দিন সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে কাচা বাজার গুলোতে মানুষের উচ্ছে পড়া ভীড়। এরই মধ্যে সব জিনিসের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। রুই মাছ কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা, ছোট সাইজের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি ৩৫০টাকা, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। যা লকডাউন পূর্বববর্তী সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। কেজি প্রতি বয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, লাল মুরগি কেজিতে ২১০ টাকাসহ সব ধরনের মাছ মাংসের দামই অনেক বেশি।
কাচা বাজারের দাম আকাশসম। ডাল, চাল, চিনি আগের তুলনায় কেজি তে ৮/১০টাকা বেশি। ভোজ্য তেল লিটারে ৮টাকা বেশি দরে বিক্রয় করতে দেখা যায়।
দ্রব্যমূল্যের দাম এতো বেশি কেনো? এ প্রশ্নের জবাবে এক দোকানি ব্রেকিং নিউজকে বলেন, “পাইকারিতে আগের তুলনায় অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আমরা কি করবো? সরকার যদি এখনি বাজার মনিটরিং না করে তাহলে রোজায় জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বাড়তে থাকবে।”
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব উদ্যোগের বাস্তবায়ন কতটুকু হবে? রমজান আসতে বেশি দেরি নেই। মানুষ এমনিতেই মহামারি করোনা সৃষ্ট নানা সংকটে আছে। তার ওপর রোজা সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে সেটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসাবে দেখা দেবে।
ব্রেকিংনিউজ/আরকে/ধ্রুব