জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নানা শর্তের মাঝেও উন্নত জীবনের আশায় অন্তত আড়াই হাজার রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে যাত্রা করেছে ভাসানচরে।
এ সপ্তাহের মধ্যে আরও ৩ হাজার ৫শ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে সরকারের আশ্বাসে ভাসানচরে যেতে রাজি হয় তারা।
রোহিঙ্গারা বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করেই যাচ্ছি। জোর করে কি আমাদের নিতে পারবে? আমরা যেতে চাই। ক্যাম্পে অনেক গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এটা অশান্তি লাগে। ভালো থাকার জন্যই খুশি হয়ে সেখানে যাচ্ছি। ’
একধিক রহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টেকনাফ-উখিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করছে ১২ লাখের বেশি জনগোষ্ঠী বাস করছে। তাই একটু ভালো থাকার আশায় সব ধরনের চাপ এবং বিধি নিষেধ ডিঙিয়ে ভাসানচরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ভাসানচরে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তাদের জন্য উন্নত জীবন ধারণের ব্যবস্থা। তাই তারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভাসানচরে যাচ্ছেন।
তারা বলেন, ‘আমরা ভাসানচরে গেলেই ভালোই হবে। আমি ও আমার ভাইবোন লেখাপড়া শিখতে পারবো। আমাদের কাছে জায়গাটা ভালো লেগেছে। তাই খুব খুশি হয়েই সেখানে যাচ্ছি। ’
উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে আসা অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নিতে বিপুল পরিমাণ আবাসন গড়ে তুলেছে সরকার। কিন্তু তাতে নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তবে সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে রোহিঙ্গারা স্বপ্রণোদিত হয়েই ভাসানচরে যাচ্ছে।
ব্রেকিংনিউজ/এসপি